বিজ্ঞাপন

Responsive Advertisement

সীতাকুণ্ডের ঘটনা সরকারের ব্যার্থতাঃ মির্জা ফখরুল | রাজনীতি

সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে সরকারের অব্যবস্থাপনা দায়ী: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের যেসব কথা সরকার বলে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার প্রমাণ কনটেইনার ডিপোর ব্যবস্থাপনা। এখানেও সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে এত হতাহতের ঘটনা ঘটতো না। অগ্নিকাণ্ডে যে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল, এতগুলো মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন-এর জন্য দায়ী সরকার। আজ রোববার (৫ জুন), বেলা সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদ্মাসেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মাওয়া-জাজিরা উভয় প্রান্তেই। ঠিক যেমন ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন যুমনাসেতু নির্মাণের। তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু কারো পৈতৃক ব্যাপার নয়। সেতুকে কেন্দ্র করে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা হচ্ছে। পদ্মাসেতুর চাইতে এই মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভঙ্গুর উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মন্ত্রীরা শুধু মুখেই উন্নয়নের কথা বলে। এখন তো পদ্মা সেতু ছাড়া দেশে আর কিছু নেই। আমি আতঙ্কিত হচ্ছি এই ভেবে যে, দেশ আধুনিক হয়েছে, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে, কিন্তু মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই এই দেশে। উন্নয়নের নামে এই সরকার শুধু অর্থ অর্জন করছে, চুরি করছে। সরকারি নেতাদের বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নেতারা চুরি করতে করতে এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, সাধারণ মানুষের কষ্ট কী তারা জানে না। এরা টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়ি করেছে। মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর জন্য যে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে একটা অর্থমন্ত্রীর স্ত্রীর নামে রয়েছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, যুবদল সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ